আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান অভিযোগ করেছেন, তার চরিত্রহননের জন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভাড়া করেছে শাহবাজ শরিফের পরিবার। সেই প্রতিষ্ঠানগুলো ইমরানের চরিত্রে কালিমালেপনের ‘উপাদান’ তৈরি করছে বলে দাবি করেছেন তিনি। খবর ডনের।
বুধবার (৪ এপ্রিল) স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল হাম নিউজে অভিনেতা শান শহিদকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব অভিযোগ তোলেন ইমরান খান। পাশাপাশি, প্রতিপক্ষের তৈরি ‘ডিপফেক’ ভিডিওর বিষয়ে সমর্থকদের সতর্ক থাকারও অনুরোধ জানান তিনি। এর আগে, পিটিআই’র সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকেও ডিপফেক নিয়ে সমর্থকদের সতর্কবার্তা দিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল।
রাজনীতিতে বিপণন প্রতিষ্ঠানের ব্যবহার ও পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল পিটিআই প্রধানের কাছে। জবাবে তিনি দাবি করেন, তার চরিত্রহননে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান ভাড়া করেছে শরিফ পরিবার।
مریم نواز جس کی وجہ شہرت جعلی رسیدیں،جعلی ٹرسٹ ڈیڈ اور جعلی خط ہے اب اطلاعات ہیں کہ اس نے DeepFake# ٹیکنالوجی کے ذریعے کئی اہم سیاسی شخصیات کی جعلی ویڈیوز بنوا کر کردار کشی کی منصوبہ بندی کر چکی ہے۔ مگر ہمیشہ کی طرح اس بار بھی ذلت اسی کا ہی مقدر ہو گا۔ pic.twitter.com/S57hnsgvZg
— PTI (@PTIofficial) May 3, 2022
ইমরান খান বলেন, আমাকে মাফিয়াদের মুখোমুখি হতে হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো শরিফ মাফিয়া… তারা সবসময় ব্যক্তিগত পর্যায়ে আক্রমণ করে। কারণ ৩৫ বছর ধরে এরা দুর্নীতিতে লিপ্ত। যখনই কেউ যখন দুর্নীতির দিকে আঙুল তোলে, তারা সেই ব্যক্তির চরিত্রের ওপর আক্রমণ করে।
ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া এ নেতা অভিযোগ করেন, তার সাবেক স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথকেও অতীতে নিশানা করা হয়েছিল। ‘ইহুদি লবির’ অংশ অভিযোগ তুলে করে প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি পাকিস্তান থেকে অ্যান্টিক টাইলস রপ্তানির অভিযোগ তুলে জেমিমার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ করা হয় বলে দাবি করেন ইমরান খান।
এক ঘণ্টার ওই সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ঈদের পরপরই তার চরিত্রহননের জন্য পূর্ণপ্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে শরিফ পরিবার। তার কথায়, এখন যেহেতু ঈদ শেষ, আপনারা দেখতে পাবেন, তারা আমার চরিত্রহননের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। তারা এমন প্রতিষ্ঠান ভাড়া করেছে, যারা এর উপাদান তৈরি করছে।
ইমরান খান দাবি করেন, পাকিস্তানের বর্তমান মন্ত্রিসভার ৬০ শতাংশ সদস্যই জামিনে রয়েছেন। তার ভাষ্যমতে, ‘বাবা (শাহবাজ) জামিনে রয়েছেন, ছেলেও (হামজা) তাই। মরিয়মও জামিনে রয়েছেন। নওয়াজ শরিফকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে আর তার ছেলেরা বিদেশে পালিয়ে গেছে। তাহলে তাদের আর অন্য কী সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকবে?
পিটিআই চেয়ারম্যান দাবি করেন, শরিফ পরিবার যে কোটি কোটি টাকা ‘চুরি করেছে’ তার জবাব দেওয়ার পরিবর্তে তারা এখন তার (ইমরান) চরিত্রহননের প্রতি মনোনিবেশ করবে। ইমরান বলেন, জেমিমার অপরাধ কী ছিল? সে আমার স্ত্রী ছিল… এখন তারা ফারাহ খানকে খুঁজে পেয়েছে। ফারাহর অপরাধ হলো তিনি বুশরা বেগমের (ইমরানের স্ত্রী) ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের সাবেক প্রধান বিচারপতি সাকিব নিসার এবং প্রয়াত বিচারপতি আরশাদ মালিকের ঘটনার মতো ‘টেপ তৈরি করেছে’ শরিফ পরিবার। ইমরানের মতে, এটি মাফিয়া স্টাইল। আমি জাতিকে শুধু বোঝাতে চাই, আপনি যদি কারও নাম কলঙ্কিত করতে চান, তবে এমন সব প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা আপনাকে এটি করতে সহায়তা করবে।
পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর দাবি, আগামী মে মাসের শেষ নাগাদ ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা দিয়েছে পিটিআই। এ জন্যই জনগণের চোখে তাকে খাটো করা এবং তার চরিত্রহনন করতে চায় শরিফ পরিবার। তবে তারা এটি অনেক আগে থেকেই করে আসছে। এটি নতুন কিছু নয় বলে দাবি করেছেন ইমরান খান।